সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

টাকাপয়সা সঠিকভাবে খরচ করা

টাকাপয়সা সঠিকভাবে খরচ করা

পারিবারিক সু খে র চা বি কা ঠি

টাকাপয়সা সঠিকভাবে খরচ করা

স্বামী বলেন: “আমি মনে করি, আমার স্ত্রী লরা * অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে পয়সা খরচ করে, সেই সমস্ত জিনিসপত্র কেনে, যেগুলো আসলে আমাদের প্রয়োজনই নেই। সে কিছুই জমাতে পারে না! এটা এক বিরাট সমস্যা হয়ে ওঠে, যখন আমাদের অপ্রত্যাশিতভাবে কোনো খরচ করতে হয়। আমি প্রায়ই বলি যে, আমার স্ত্রীর হাতে যদি টাকা থাকে, তাহলে সে তা শেষ করে ফেলবে।”

স্ত্রী বলেন: “হয়তো আমি টাকা জমাতে পারি না কিন্তু আমার স্বামীর কোনো ধারণাই নেই যে, খাবারদাবার, আসবাবপত্র, ঘরের সামগ্রী কিনতে কত খরচ লাগে, কারণ বেশিরভাগ সময় তো আমিই ঘরে থাকি। আমি জানি, আমাদের কী কী প্রয়োজন আর টাকাপয়সা নিয়ে ‘কথা উঠবে’ জানা সত্ত্বেও, আমি সেগুলো কিনে থাকি।”

টাকাপয়সা নিয়ে শান্তভাবে আলোচনা করা এক দম্পতির জন্য সবচেয়ে কঠিন বিষয়গুলোর মধ্যে একটা হতে পারে। তাই, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, টাকাপয়সাই বেশিরভাগ সময়ে বিবাহিত জীবনের তর্কবিতর্কের প্রধান কারণ হয়ে থাকে।

যে-দম্পতিদের টাকাপয়সার প্রতি ভারসাম্যহীন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, তারা হয়তো কঠিন চাপ, দ্বন্দ্ব এবং আবেগগত—এমনকী আধ্যাত্মিক—ক্ষতি ভোগ করতে পারে। (১ তীমথিয় ৬:৯, ১০) যে-বাবা-মায়েরা টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে ব্যর্থ হয়, তারা হয়তো বেশি সময় কাজ করতে বাধ্য হতে পারে ও এর ফলে তারা তাদের ছেলে-মেয়েদের ও সেইসঙ্গে একে অন্যকে আবেগগত ও আধ্যাত্মিক সমর্থন লাভ করা থেকে বঞ্চিত করতে পারে। এ ছাড়া, এইরকম করে তারা তাদের ছেলে-মেয়েদেরকে টাকাপয়সার ব্যাপারে অযৌক্তিক হতে শেখায়।

‘টাকা-পয়সা নিরাপত্তা দান করে,’ বাইবেল স্বীকার করে। (উপদেশক ৭:১২, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন) কিন্তু, টাকাপয়সা একমাত্র তখনই আপনার বিয়ে ও পরিবারকে রক্ষা করবে, যখন আপনি টাকাপয়সা কীভাবে খরচ করতে হয় কেবল তা-ই নয়, কিন্তু সেইসঙ্গে এই বিষয় নিয়ে আপনার সাথির সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয়, তা-ও শেখেন। * বস্তুতপক্ষে, ঝগড়া করার পরিবর্তে টাকাপয়সা নিয়ে আলোচনাগুলো আসলে বিবাহ সাথিদের বন্ধনকে আরও মজবুত করতে পারে।

কিন্তু, কেন টাকাপয়সা একটা বিয়েতে এত সমস্যার সৃষ্টি করে? আর টাকাপয়সাকে এক ঝগড়ার বিষয় করার বদলে এক গঠনমূলক বিষয় করে তোলার জন্য কোন ব্যবহারিক পদক্ষেপগুলো আপনি গ্রহণ করতে পারেন?

কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলো রয়েছে?

প্রায়ই এইরকম হয় যে, টাকাপয়সা নিয়ে মতভেদের মধ্যে কত টাকা খরচ হয়েছে বা কীভাবে খরচ হয়েছে, তা নয় বরং বিশ্বাস বা আশঙ্কার বিষয়টাই বড়ো হয়ে দেখা দেয়। উদাহরণস্বরূপ, একজন স্বামী যিনি তার স্ত্রীকে প্রতিটা খরচের পাই পাই হিসাব দিতে বলেন, তিনি আসলে বলছেন যে, পরিবারের টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখাশোনা করার ব্যাপারে স্ত্রীর ক্ষমতার ওপর তার সামান্যই বিশ্বাস রয়েছে। আর যে-স্ত্রী অভিযোগ করেন যে, তার স্বামী যথেষ্ট টাকাপয়সা জমাতে পারেন না, তিনি আসলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, ভবিষ্যতে কোনো ঘটনা পরিবারে অর্থনৈতিক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

টাকাপয়সা নিয়ে তর্কবিতর্কের আরেকটা কারণ হচ্ছে, দম্পতিদের ভিন্ন পটভূমি। “আমার স্ত্রী এমন এক পরিবার থেকে এসেছে, যেখানে টাকাপয়সা সঠিকভাবে খরচ করা হয়েছিল,” ম্যাথিউ বলেন, যিনি আট বছর ধরে বিবাহিত। “এই বিষয় নিয়ে আমার স্ত্রীর মধ্যে আমার মতো কোনো আশঙ্কা নেই। আমার বাবা একজন মদ্যপায়ী ছিলেন ও ঘন ঘন সিগারেট খেতেন এবং অনেক সময় ধরে তার কোনো চাকরি ছিল না। আমাদের প্রায়ই প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো ছাড়াই চলতে হতো আর এই কারণে আমার মধ্যে এইরকম আশঙ্কা গড়ে উঠেছিল যে, আমাকে হয়তো ধার করে চলতে হবে। মাঝে মাঝে, এই আশঙ্কার কারণে আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে টাকাপয়সার ব্যাপারে অযৌক্তিক আচরণ করে ফেলি।” চিন্তার কারণ যা-ই হোক না কেন, আপনার টাকাপয়সা যাতে তর্কের উৎস না হয়ে বরং আপনার বিবাহিত জীবনে সাহায্য করে, সেইজন্য আপনি কী করতে পারেন?

সফল হওয়ার চারটে চাবিকাঠি

বাইবেল টাকাপয়সা সঠিকভাবে খরচ করা সম্বন্ধীয় কোনো তথ্যগ্রন্থ নয়। কিন্তু, এটির মধ্যে ব্যবহারিক প্রজ্ঞা রয়েছে, যা এক দম্পতিকে টাকাপয়সা সংক্রান্ত সমস্যা এড়াতে সাহায্য করতে পারে। এটির পরামর্শ বিবেচনা করে দেখুন না কেন এবং নীচে তালিকাবদ্ধ পরামর্শগুলো পালন করার চেষ্টা করুন না কেন?

১. টাকাপয়সা নিয়ে শান্তভাবে কথা বলতে শিখুন। “যাহারা পরামর্শ মানে, প্রজ্ঞা তাহাদের সহবর্ত্তী।” (হিতোপদেশ ১৩:১০) আপনার পটভূমির কারণে আপনি হয়তো টাকাপয়সার বিষয়ে অন্যদের সঙ্গে, বিশেষ করে আপনার সাথির সঙ্গে পরামর্শ করতে অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। তা সত্ত্বেও, এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতে শেখা প্রজ্ঞার কাজ। উদাহরণস্বরূপ, টাকাপয়সার ব্যাপারে আপনার বাবা-মায়ের মনোভাব আপনার ওপর কতখানি প্রভাব ফেলেছে, সেই বিষয়টা আপনার সাথিকে খুলে বলুন না কেন? সেইসঙ্গে বোঝার চেষ্টা করুন যে, আপনার সাথির পটভূমি কীভাবে তার মনোভাবকে প্রভাবিত করেছে।

টাকাপয়সা নিয়ে কথা বলার জন্য কোনো একটা সমস্যা সৃষ্টি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার দরকার নেই। একজন বাইবেল লেখক জিজ্ঞেস করেছিলেন: “একপরামর্শ না হইলে দুই ব্যক্তি কি একসঙ্গে চলে?” (আমোষ ৩:৩) এই নীতি কীভাবে প্রযোজ্য? টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার জন্য যদি আপনি একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে রাখেন, তাহলে আপনি ভুল বোঝাবুঝির কারণে তর্কবিতর্ক ঘটার সম্ভাবনাকে হ্রাস করতে পারবেন।

এটা করে দেখুন: পরিবারের টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার জন্য এক নিয়মিত সময় স্থির করুন। আপনি প্রতি মাসের প্রথম দিনে বা প্রতি সপ্তাহের একটা নির্ধারিত দিনে এই বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। এই আলোচনাকে সংক্ষিপ্ত রাখুন, হয়তো ১৫ মিনিট বা তার চেয়েও কম সময়। এমন একটা সময় বেছে নিন, যখন আপনারা দুজনেই হালকা মেজাজে থাকেন। কিছু কিছু সময়ে, যেমন খাওয়াদাওয়া করার বা ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় টাকাপয়সা নিয়ে কথা বলবেন না।

২. আয়ের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে একমত হোন। “সমাদরে এক জন অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর।” (রোমীয় ১২:১০) আপনিই যদি পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার আয়কে নিজের টাকা হিসেবে না দেখে বরং পরিবারের টাকা হিসেবে দেখার দ্বারা আপনার সাথির প্রতি সম্মান দেখাতে পারেন।—১ তীমথিয় ৫:৮.

যদি আপনি এবং আপনার সাথি উভয়েই টাকাপয়সা আয় করেন, তাহলে আপনারা কত বেতন পান তা এবং বড়ো কোনো খরচের বিষয়ে একে অন্যের কাছে বলার দ্বারা উভয়কে সম্মান দেখাতে পারেন। আপনি যদি এই ব্যাপারে কোনো কিছু লুকান, তাহলে আপনার ওপর আপনার সাথির যে-বিশ্বাস রয়েছে, সেটাকে নষ্ট করে ফেলতে পারেন এবং আপনাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে, ছোটোখাটো সমস্ত খরচ করার আগে আপনার সাথির সঙ্গে যে আপনার আলোচনা করে নিতে হবে, তা নয়। কিন্তু বড়ো কোনো খরচের বিষয়ে যদি আপনি আপনার সাথির সঙ্গে আলোচনা করে নেন, তাহলে আপনি দেখান যে আপনার সাথির মতামতকে আপনি গুরুত্ব দেন।

এটা করে দেখুন: একে অন্যের সঙ্গে আলোচনা করা ছাড়াই আপনারা কী পরিমাণ অর্থ খরচ করতে পারবেন, সেই বিষয়ে সম্মত হোন, তা সেটা ২০ টাকাই হোক বা ২০০ টাকাই হোক। সেই পরিমাণের চেয়ে বেশি খরচ করতে চাইলে সবসময় আপনার সাথির সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

৩. আপনার পরিকল্পনাগুলো লিখে রাখুন। “পরিশ্রমীর পরিকল্পনার ফলে নিশ্চয়ই প্রচুর ধনলাভ হয়।” (হিতোপদেশ ২১:৫, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন) ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করার ও আপনার পরিশ্রমকে নষ্ট না হতে দেওয়ার একটা উপায় হল, পারিবারিক বাজেট তৈরি করা। নিনা, যিনি পাঁচ বছর ধরে বিবাহিত, তিনি বলেন: “আয়-ব্যয় কাগজে লিখে রেখে সেটাকে পুনর্বিচার করা আপনার চোখ খুলে দিতে পারে। লিখিত বিষয়গুলো নিয়ে সাধারণত তর্ক করা যায় না।”

আপনার বাজেট তৈরি করার পদ্ধতি জটিল হওয়ার প্রয়োজন নেই। ড্যারেন, যিনি ২৬ বছর ধরে বিবাহিত ও দুই ছেলের বাবা, তিনি বলেন: “প্রথমে আমরা আমাদের টাকাপয়সা বিভিন্ন খামে ভাগ করে রাখতাম। আমরা প্রতি সপ্তাহের খরচের টাকা আলাদা আলাদা খামে রাখতাম। উদাহরণস্বরূপ, খাবার, বিনোদন ও এমনকী চুল কাটার খরচের জন্যও আমাদের আলাদা আলাদা খাম ছিল। যদি আমাদের কোনো একটা খামের টাকা আগেই শেষ হয়ে যেত, তাহলে আমরা আরেকটা খাম থেকে নিতাম কিন্তু সবসময় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই খামে আবার টাকা রেখে দিতাম।” আপনি যদি নগদ টাকা না দিয়ে ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন বিল পরিশোধ করেন, তাহলে যে-বিষয়টা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ তা হল, আপনি যেন আপনার খরচের ব্যাপারে একটা পরিকল্পনা করেন ও সেটার একটা রেকর্ড রাখেন।

এটা করে দেখুন: আপনাদের নির্ধারিত সব খরচের বিষয় লিখে রাখুন। আপনাদের আয় থেকে কী পরিমাণ অর্থ জমা রাখা হবে, সেই বিষয়ে একমত হোন। এরপর বিভিন্ন খরচ যেমন খাবার, বিদ্যুৎ ও ফোন বিলের তালিকা করুন। তারপর কয়েক মাস আপনাদের যে-খরচ হয়েছে, সেটার রেকর্ড রাখুন। প্রয়োজনে জীবনযাত্রায় রদবদল করুন, যাতে আপনারা ঋণে জড়িয়ে না পড়েন।

৪. কে কী করবেন, সেই বিষয়ে একমত হোন। “একজনের চেয়ে দুজন ভাল, কারণ তাদের কাজে অনেক ফল হয়।” (উপদেশক ৪:৯, ১০, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন) কিছু কিছু পরিবারে, স্বামী টাকাপয়সার বিষয়টা দেখাশোনা করেন। অন্য পরিবারগুলোতে, স্ত্রী দক্ষতার সঙ্গে এই দায়িত্বটা পালন করে থাকেন। (হিতোপদেশ ৩১:১০-২৮) কিন্তু, অনেক দম্পতি দুজনেই দায়িত্বটা ভাগাভাগি করে নেয়। “আমার স্ত্রী বিভিন্ন বিল পরিশোধের ও ছোটোখাটো খরচের বিষয়টা দেখাশোনা করে,” মারিয়ো বলেন, যিনি ২১ বছর ধরে বিবাহিত। “আমি কর পরিশোধ, বিভিন্ন কিস্তি পরিশোধ এবং বাড়ি ভাড়া পরিশোধের বিষয়টা দেখাশোনা করি। আমরা একে অপরকে বিষয়গুলো সম্বন্ধে অবগত করি এবং সঙ্গী হিসেবে কাজ করি।” আপনার পদ্ধতি যা-ই হোক না কেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হল একটা দল হিসেবে একত্রে কাজ করা।

এটা করে দেখুন: একে অন্যের উত্তম গুণাবলি ও দুর্বলতাগুলো বিবেচনা করে আলোচনা করুন যে, কে কোন দায়িত্ব পালন করবে। কয়েক মাস পর পর এই সম্বন্ধে পুনরালোচনা করুন। রদবদল করতে ইচ্ছুক হোন। আপনার সাথি যে-কাজ সম্পাদন করেন, যেমন বিল পরিশোধ করা বা কেনাকাটা করা, তা উপলব্ধি করতে সাহায্য করার জন্য আপনি হয়তো মাঝে মাঝে দায়িত্বকে অদলবদল করতে পারেন।

টাকাপয়সা সংক্রান্ত আলোচনা যা প্রকাশ করে

টাকাপয়সা সংক্রান্ত আলোচনা যেন প্রেমকে শীতল করে না দেয়। লিয়া, যিনি পাঁচ বছর ধরে বিবাহিত, তিনি এটা সত্য হতে দেখেছেন। তিনি বলেন: “আমার স্বামী ও আমি টাকাপয়সার ব্যাপারে খোলাখুলি ও সৎভাবে আলোচনা করতে শিখেছি। ফলে, আমরা এখন একটা দল হিসেবে কাজ করি এবং আমাদের প্রেম আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।”

দম্পতিরা যখন আলোচনা করে যে, কীভাবে তারা তাদের টাকাপয়সা খরচ করতে চায়, তখন তারা তাদের আশা ও স্বপ্নগুলো ভাগাভাগি করে এবং তাদের বিবাহের প্রতিশ্রুতিকে নিশ্চিত করে। বড়ো খরচের কোনো কিছু কেনাকাটা করার আগে যখন তারা একত্রে আলোচনা করে নেয়, তখন তারা একে অপরের মতামত ও অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখায়। যখন তারা আলোচনা করা ছাড়াই একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ খরচ করার ব্যাপারে একে অন্যকে স্বাধীনতা দেয়, তখন তারা দেখায় যে, তারা একে অপরকে বিশ্বাস করে। এগুলো হচ্ছে এক প্রকৃত প্রেমময় সম্পর্কের উপাদান। যেহেতু এই ধরনের এক সম্পর্ক নিশ্চিতভাবেই নিছক টাকাপয়সার চেয়ে অনেক গুণ বেশি মূল্যবান, তাই টাকাপয়সা নিয়ে তর্ক করার কী আছে? (w০৯ ০৮/০১)

[পাদটীকাগুলো]

^ নামগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।

^ বাইবেল বলে যে, “স্বামী স্ত্রীর মস্তক,” তাই পরিবারের টাকাপয়সা কীভাবে ব্যবহৃত হবে এবং স্ত্রীর সঙ্গে এক প্রেমময়, নিঃস্বার্থ উপায়ে আচরণ করার বাধ্যবাধকতা, এই দুটো বিষয়ের প্রধান দায়িত্ব স্বামীর।—ইফিষীয় ৫:২৩, ২৫.

নিজেকে জিজ্ঞেস করুন . . .

▪ শেষ কবে, আমার সাথি ও আমি টাকাপয়সা নিয়ে শান্তভাবে আলোচনা করেছি?

▪ আমার সাথি পরিবারে যে-আর্থিক সাহায্য করে থাকে, সেটার প্রতি উপলব্ধি দেখানোর জন্য আমি কী বলতে ও করতে পারি?

[২০ পৃষ্ঠার চিত্র]

আপনার কাছে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ—টাকাপয়সা নাকি আপনার বিবাহিত জীবন?