দেশ ও অধিবাসী
স্পেন ভ্রমণ
স্পেন হল প্রাকৃতিক দৃশ্য ও বিভিন্ন পটভূমির অধিবাসীদের নিয়ে গঠিত এক বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ। স্পেনের অধিকাংশ এলাকাজুড়ে রয়েছে গম ও আঙুরের খেত আর অলিভ গাছ। দক্ষিণ দিকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার (৯ মাইল) প্রশস্ত জিব্রাল্টার প্রণালী স্পেনের মূল ভূখণ্ডকে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে পৃথক করে।
ফিনিশীয়, গ্রিক ও কার্থেজীয়-সহ অনেকে ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এই দেশে এসে বসবাস করতে শুরু করে। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে যখন রোমীয়রা এই দেশ জয় করে, তখন তারা এটার নামকরণ করে হিসপানিয়া। পরবর্তী সময়ে, ভিসিগথ ও মুর সম্প্রদায়ের লোকেরা এই দেশ দখল করে আর তারাও তাদের সংস্কৃতির ছাপ রেখে যায়।
সম্প্রতি এক বছরে ৬ কোটি ৮০ লক্ষেরও বেশি পর্যটক স্পেনে এসেছে। তারা মূলত সূর্যের আলো, সোনালি সমুদ্র সৈকত এবং এখানকার
শিল্পকর্ম, ইতিহাস ও স্থাপত্যকর্মের টানেই এখানে আসে। এখানকার খাবারও পর্যটকদের কাছে যথেষ্ট আকর্ষণীয়। স্থানীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক খাবার, সংরক্ষণ করা শূকরের মাংস, মশলাদার স্ট্যু, স্যালাড আর অলিভ অয়েল দেওয়া কিংবা তাতে রান্না করা সবজি। স্পেনীয় ওমলেট, পায়েয়া এবং টাপাস এখন সারা বিশ্বে সুপরিচিত।স্পেনের অধিবাসীরা সাধারণত বন্ধুত্বপরায়ণ ও মিশুকে হয়ে থাকে। অধিকাংশই নিজেদের রোমান ক্যাথলিক বলে দাবি করলেও তুলনামূলকভাবে অল্পসংখ্যক ব্যক্তি মিশায় (ধর্মীয় সভায়) যোগ দেয়। সম্প্রতি কয়েক বছরে আফ্রিকা, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ স্পেনে এসে বসবাস করতে শুরু করেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও রীতিনীতি নিয়ে আলোচনা করতে পছন্দ করে। যিহোবার সাক্ষিরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে ভালোবাসে আর তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে বাইবেলের শিক্ষা সম্বন্ধে জানতে সাহায্য করে।
২০১৫ সালে ১০,৫০০-রও বেশি যিহোবার সাক্ষি ৭০টা উপাসনার স্থান, যেটাকে কিংডম হল বলা হয়, নির্মাণ করার অথবা মেরামত করার জন্য স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় পৌরসভা এই কাজের জন্য জমি দান করেছে। যিহোবার সাক্ষিরা স্প্যানিশ ভাষা ছাড়া ৩০টারও বেশি ভাষায় তাদের সভাগুলো পরিচালনা করে, যাতে অভিবাসীরা উপকৃত হতে পারে। ২০১৬ সালে যিশু খ্রিস্টের মৃত্যু স্মরণ করার জন্য যিহোবার সাক্ষিদের আয়োজিত এক বিশেষ সভায় ১,৮৬,০০০-রেরও বেশি লোক যোগ দিয়েছিল। ▪