সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

সৃষ্টিকর্তার আজ্ঞা পালন করার মাধ্যমে আমরা প্রকৃত সুখ উপভোগ করতে পারি

যারা সৃষ্টিকর্তার বাধ্য হয়, তারা আশীর্বাদ লাভ করে

যারা সৃষ্টিকর্তার বাধ্য হয়, তারা আশীর্বাদ লাভ করে

ভাববাদী মোশি বলেছিলেন, আমরা যদি সৃষ্টিকর্তার আজ্ঞার বাধ্য হই, তা হলে আমরা সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ লাভ করব। (দ্বিতীয় বিবরণ ১০:১৩; ১১:২৭) সৃষ্টিকর্তা আমাদের শাস্তি দিতে পারেন, এই ভয়ে আমরা তাঁর বাধ্য হই না। সৃষ্টিকর্তার চমৎকার গুণাবলি আমাদের তাঁর বাধ্য হতে অনুপ্রাণিত করে কারণ আমরা তাঁকে প্রেম করি। আর তাই আমরা এমন কিছু করা এড়িয়ে চলতে চাই, যা তাঁকে দুঃখিত করতে পারে। “ঈশ্বরের প্রতি প্রেম এই, যেন আমরা তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন করি।”—১ যোহন ৫:৩.

কিন্তু সৃষ্টিকর্তার বাধ্য হওয়ার ফলে কীভাবে আমরা তাঁর আশীর্বাদ লাভ করতে পারব? দুটো উপায় বিবেচনা করুন।

১. সৃষ্টিকর্তার বাধ্য হওয়া আমাদের বিজ্ঞ করে তুলবে

“আমি সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর, আমি তোমার উপকারজনক শিক্ষা দান করি, ও তোমার গন্তব্য পথে তোমাকে গমন করাই।”—যিশাইয় ৪৮:১৭.

আমাদের সৃষ্টিকর্তা যিহোবা ঈশ্বর আমাদের সম্বন্ধে ভালোভাবে জানেন এবং আমাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। আমরা যদি চাই তাঁর শিক্ষা আমাদের বিজ্ঞ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করুক, তা হলে আমাদের অবশ্যই পবিত্র বাক্য থেকে শিখতে হবে, সৃষ্টিকর্তা আমাদের কাছ থেকে কী চান আর তারপর আমাদের তা করতে হবে।

২. সৃষ্টিকর্তার বাধ্য হওয়া আমাদের সুখী করে তুলবে

“ধন্য” বা সুখী “তাহারাই, যাহারা ঈশ্বরের বাক্য শুনিয়া পালন করে!”—লূক ১১:২৮.

বর্তমানে, লক্ষ লক্ষ ব্যক্তি সৃষ্টিকর্তার বাক্যের বাধ্য হচ্ছে এবং প্রকৃত সুখ উপভোগ করছে। উদাহরণ স্বরূপ, স্পেনের একজন ব্যক্তির কথা বিবেচনা করুন, যিনি প্রচণ্ড রেগে যেতেন এবং তিনি অন্যদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করতেন, এমনকী তার স্ত্রীর সঙ্গেও। একদিন তিনি পবিত্র বাক্য থেকে ভাববাদী মোশির লেখা বইগুলো পড়ছিলেন। সেখানে তিনি যাকোবের পুত্র যোষেফ সম্বন্ধে পড়েন, যিনি একজন নম্র ব্যক্তি ছিলেন। যোষেফকে একজন দাস হিসেবে বিক্রি করা হয়েছিল এবং অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করা হয়েছিল; তা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন নম্র, শান্তিস্থাপনকারী ও ক্ষমাশীল। (আদিপুস্তক, ৩৭-৪৫ অধ্যায়) স্পেনের সেই ব্যক্তি বলেন: “যোষেফের উদাহরণ নিয়ে চিন্তা করা আমাকে নম্রতা, দয়া এবং আত্মসংযমের মতো গুণগুলো গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করেছে। ফল স্বরূপ, আমি এখন এক সুখী জীবন উপভোগ করছি।”

কীভাবে একে অন্যের সঙ্গে আচরণ করা উচিত, সেই বিষয়ে পবিত্র বাক্য আমাদের আরও নির্দেশনা প্রদান করে। পরবর্তী প্রবন্ধে এই বিষয়ে আরও বিস্তারিতভাবে জানুন।